সুস্থভাবে বাঁচতে হলে কিছু কথা জেনে রাখুন





স্বাস্থ্যই বড় সম্পদ। আমরা না জেনে বূঝে নিজের স্বাস্থ্যের উপর অত্যাচার করি। এতে আমাদের স্বাস্থ্য শারীরিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পর্যাপ্ত না ঘুমানো, অসময় খাওয়া, প্রয়োজন চেয়ে বেশি খাওয়া, প্রয়োজন চেয়ে কম খাওয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর করে পারে। তাই সুস্থ ভাবে বাঁচতে চাইলে আমাদের সকলের কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে।
চলুন তবে আজকে আপনাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে  কিছু কথা বলি যা আমাদের শারীরিক নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর হবে।

সকালের ঘুম থেকে উঠবেন এবং হাটতে বের হবেন

সকালের আবাহাওয়া স্বাস্থের জন্য খুবই ভালো। সকালে  বাইরের প্রাকৃতিক বাতাস পেলে মন ও স্বাথ্য দুটোই ভালো থাকবে। সকালের প্রাকৃতিক বাতাস আপনার হৃদয়ে এনে দিবে অন্য রকম সজীবতা। রোজ সকালে উঠে হাটার অভ্যাস করবেন। এতে অলসতাও খানিকটা দূর হবে। আমাদের শরীর চায় প্রাকৃতিক বাতাস। প্রাকৃতিক বাতাস আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। যারা সকালে উঠে বাইরে হাটতে যেতে পারে না তারা নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করছে।


সময়মত খাবার খাবেন

 আমরা অনেকেই খাবার নিয়ে অনেক অনীহা করি। সময় মত খাবার খাই না। কখনো মাত্রার চেয়ে বেশী খেয়ে ফেলি। আবার কখনো কাজের চাপে বা অন্য কোন কারণে এক সময়ের খাবার অন্য সময় গ্রহণ করে থাকি। সময়ের খাবার সময়েই খাওয়া প্রয়োজন। সকাল ছয়টা থেকে আটটার মধ্যে নাস্তা করে ফেলা উচিত। দশটার পর খাওয়া ঠিক নয়। দুপুর  সাড়ে বারোটা থেকে সাড়ে দুইটার মধ্যে খাবার খেয়ে নেয়া উচিত। সকাল এবং দুপুরে খাবারের মাঝে চার ঘন্টা পার্থক্য রাখা উচিত। রাতের খাবার  সাড়ে সাত থেকে দশটার মধ্যে খেয়ে নেয়া উচিত। ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘন্টা পূর্বে খাওয়া উচিত।

সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খাবেন

তাজা তাজা ফলমূল ও শাকসবজি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডাক্তারদের মতে সবজি-ফলমূল শরীর স্বাথ্য ভালো রাখে।  তাছাড়া শাকসবজি-ফলমূলে প্রচুল পরিমাণে ভিটামিন থাকে যার ফলে নানা রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় শাকসবজি ও ফলমূল রাখা খুব প্রয়োজন। আজে বাজে খাবার আহারের সবজি ও ফলমূল খাওয়া অনেক ভালো।


কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন

নিজের ভালো  রাখার জন্য সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করবেন। অকর্ম থাকলে নানা বাজে চিন্তা মাথায় আসবে এবং শরীর ও মন দুটোই নষ্ট করে দিবে। যতটা সম্ভব ব্যস্ততার মধ্যে থাকা ভালো। ব্যস্ততা মানুষকে সব দুঃচিন্তা ভুলিয়ে রাখে। দুঃচিন্তা ভয়াবহ রোগ আকার ধারণ করতে পারে। দুঃচিন্তা মানুষের কাজের প্রতি অনাগ্রহ জন্ম করে। দুঃচিন্তা থেকে স্বাস্থ্যের প্রতি প্রভাব পড়তে পারে। তাই সর্বদা ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন। কাজের মাঝে নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করতে শিখুন। এতে করে স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে আপনি কাজের দিক থেকেও এগিয়ে থাকবেন।


সৎ কর্ম করবেন
সব সময় সৎ কর্মে লিপ্ত থাকার চেষ্টা করবেন। অসৎ কাজ মনকে অসৎ বানায়। সৃষ্টি করে নানা রকম কু- চিন্তা ভাবনা। অসৎ কর্মে লিপ্ত মানুষেরা সব দিক থেকেই কখনো সুখে থাকে না।আমাদের যতটা সম্ভব অসৎ কর্মকে এগিয়ে চলা উচিত। খারাপের ফল খারাপই হয়ে থাকে। সৎ কর্ম মানুষকে সৎ চিন্তায় মগ্ন রাখে। এতে করে মন সবসময় প্রানবন্ত থাকে।



প্রিয়জনকে সময় দিন

প্রিয়জনকে সময় দেখা খুবই জরুরি। আপনার প্রিয় জনদের সাথে বেশি বেশি সময় কাটান এতে মনের সুস্থতা আসবে। নিজের প্রিয়জনদের ভালোবাসতে শিখুন। যত বেশি প্রিয়জনদের মাঝে থাকবেন ততই চিন্তা মুক্ত থাকবেন। প্রিয়জনদের ভালোবাসা আপনাকে অন্য দুনিয়ার নিয়ে যাবে রেখানে থাকবে না কোন প্রকার দূস্ট ছায়া।
নিজেকে সময় দিন
নানা ব্যস্ততার মাঝে নিজেকেও সময় দেওয়াটা অতীব জরুরি। সকল দুনিয়াকে ভুলে গিয়ে কিছু সময় নিজের মাঝে হারিয়ে যান। আপনি কি চান? কোনটা করলে আপনার সব চেয়েবেশি ভালো লাগবে? কিছু সময় নিজের পছন্দ ও রুচি অনুযায়ী কাটিয়ে দিন। দেখবেন আনেকটা হালকা অনুভব হচ্ছে।


তৈলাক্ত ও মিষ্টি খাবার পর্যাপ্ত গ্রহন করুন
যতটা সম্ভব তৈলাক্ত খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আবার একেবারে বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। সীমার মধ্যে থেকে খাদ্য গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তৈলাক্ত খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবারে অনেক ফ্যাট থাকে এতে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। নানা প্রকার রোগেরও সৃষ্টি হথে পারে।
ধর্মীয় কাজ করুন

নিজের মনকে সুস্থ রাখে ধর্মীয় কাজে। ব্যস্ত জীবনের মাঝে আমরা ধর্মীয় কর্মে সময় ব্যয় করি না ততটা। ধর্মীয় কাজে নিজেকে মগ্ন রাখলে মনের শান্তি বজায় থাকে মনের শান্তি থেকে শারীরিক শান্তি আসে।

এ্যালকোহল ও অন্যান্য নেশা জাতীয় জিনিস পরিহার করুন
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য আমাদের উচিত সকল নেশা জাত দ্রব্য এড়িয়ে চলা। কারণ এ্যালকোহল ও অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্যে থাকে বিষাক্ত রকমের ক্যামিকেল যা অকালে আপনার অনেক ক্ষতি করতে পারে। এমনকি আপনার প্রাণও কেড়ে নিতে পারে। ক্যান্সার, লিভার নষ্ট, ফুসফুস নষ্ট, শ্বাস কষ্ট সহ আরো অনেক রকম মারাত্মক ব্যধিতে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।

একটি সুস্থ স্বাস্থ্য সকলেরই কাম্য। কিন্তু অনেকে না বুঝে উল্টা পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবিচার করে। তাই অনেকে অকালেই নান রকম মারাত্মক ব্যধিতে পতিত হন। তাই আসুন আমরা সময় থাকতে সচেতন হই এবং নিজেকে ভালবাসতে শিখি। নিজেকে সুস্থ রাখতে শিখি।

Comments

Popular posts from this blog

Computer

লন টেনিস

মহাস্থানগড়